EIIN NO :120627. SCHOOL CODE: 7933.
s120627h@gmail.com

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানজুলাই বিপ্লব বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অথবা ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান বলতে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ ও অসহযোগ আন্দোলন ২০২৪-এর সমন্বিত আন্দোলনকে বোঝানো হয়। ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারিকৃত পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়, এই আন্দোলনে তৎকালীন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার দমন-পীড়ন শুরু করলে এটি অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানের কারণে ৫ই আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে এবং দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়, ফলে বাংলাদেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ে এবং এর তিন দিন পরে ৮ই আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

নামকরণ

৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা এখনও আগস্টে যাইনি। এই জুলাই হত্যার বিচার করেই আমরা আগস্টে যাব।” ফলে আন্দোলনটি “জুলাই বিপ্লব” বলে খ্যাতি পায়।

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই অভ্যুত্থানকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস “জুলাই বিপ্লব” এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে “ছাত্র–শ্রমিক–জনতার অভ্যুত্থান” বলে অভিহিত করেন।

পটভূমি

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হওয়ার পর, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে। এরপর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ পরপর আরও তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠে। এরমাঝে ২০১৮ সালের নির্বাচন ব্যতীত বাকি দুটো নির্বাচন বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিলো। এইসময় সরকার তাদের বিরোধীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন ও ধর-পাকড় চালায়, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের নেতৃত্বশূন্য করে ফেলা হয়।[] এইসময়ে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর মতো আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এইসময়ে অরাজনৈতিক আন্দোলন সহ অধিকাংশ আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সরকার পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বিশেষত ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করতো। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ও দমন-নিপড়নের অভিযোগ ছিলো।[১২] গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ছোট থেকে কেন্দ্রের বেশিরভাগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছিলো, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কানাডায় বাংলাদেশিদের পরিবাবের সদস্যদের নিয়ে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে, পাশাপাশি রিজার্ভের ঘাটতি, দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার, ব্যাংকিংখাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দিনে দিনে জীবন-যাপন কঠিন হয়ে উঠেছিলো, যার কারণে তারা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল

সূত্র: https://bn.wikipedia.org/